Notice

Young people will get employment

Rate this post

টানা তৃতীয়বার দেশ পরিচালনা দায়িত্ব আওয়ামী লীগকে দেওয়াই দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। কোন শিক্ষিত তরুণই কর্মসংস্থান ছাড়া থাকবে না।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই বিজয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

Join our Facebook Group Get job update & discuss about Job related Topics.

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন পর স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আমি মা-বোন, নারীদের, তরুণ প্রজন্মকে, এদেশের কৃষক-শ্রমিক-কামার-কুমার-তাঁতীসহ সর্বোস্তরের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই; যারা আমাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার জীবন উৎসর্গ করেছি। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়েও প্রতিজ্ঞা করেছি এ দেশকে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছি। যে বাংলাদেশে একটি মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, সবাই চিকিৎসা পাবে, তরুণেরা কর্মসংস্থান পাবে। বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা, লক্ষ্য

তিনি বলেন, এ রায় সন্ত্রাসের, জঙ্গিবাদের, মাদকের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রায়। নির্বাচিত প্রতিনিধি যারা তাদের এটা মনে রাখতে হবে। দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা আমাদের কর্তব্য। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-মাদক-দূর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয় শুধু আওয়ামী লীগের নয়, এই বিজয় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির, আপামর জনগণের। আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে এটা সত্য। যখন দায়িত্ব পেয়েছি, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই দল মত প্রত্যেকের জন্য কাজ করবো। সবার রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করবো। প্রতিটি নাগরিক আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সকলের তরে, সকলের জন্য। সকলের জন্য কাজ করবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের রায় নিয়ে আমরা চতুর্থবারের জন্য সরকার গঠন করেছি। আমরা জাতির কাছে দায়বদ্ধ। যে বিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন, সেই আস্থা ও মর্যাদা আমরা রক্ষা করবো। প্রতিটি মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করাই আমাদের অঙ্গিকার। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমি আমার জীবনকে উৎসর্গ করেছি দেশকে গড়ে তুলতে। কী পেলাম সেটা বড় কথা নয়, কী দিলাম সেটাই বড় কথা। আসুন সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে গড়ে তুলি, বর্তমানকে উৎসর্গ করি ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার পিতা দেশের মানুষের জীবন উন্নত করার জন্য জীবন দিয়েছেন। আমার মা, ভাই, পুরো পরিবার জীবন দিয়েছেন। এদেশের অনেক মানুষ জীবন দিয়েছেন বাংলাদেশের জন্য। আমি এই দেশটাকে গড়ে তুলতে চাই।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে তৃনমূল পর্যায়ে মানুষের জীবনকে উন্নত করবো। আমরা দেশকে ক্ষুধামুক্ত করেছি, দারিদ্রমুক্ত করেছি। বাংলাদেশ ২০৪১ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত দেশ হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে অঙ্গীকার করেছি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে। ৪র্থ বারের মতো মানুষ আমাকে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, খুনিরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুর কোনো রক্ত বেঁচে থাকবে না, যাতে করে বাংলাদেশ আবার উঠে দাঁড়াতে না পারে। আমি আর আমার ছোট বোন ছয় বছর বিদেশে ছিলাম। সে সময় দেখেছি বাংলাদেশের সেই চিত্র। ছিন্নবস্ত্র, দেখেছি মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, পেটে ক্ষুধার জ্বালা। তখন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে স্বপ্ন নিয়ে আদর্শ নিয়ে বাবা স্বাধীন করেছেন, সেটা পূরণ করে যেতে পারেননি, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে নিয়ে যখন উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করেন তখনই সেই ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটে।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে। এ বিজয় ধরে রাখতে হবে। বিজয়ী হওয়া সহজ কিন্তু তা ধরে রাখা কঠিন। উন্নয়ন, সুশাসনের মাধ্যমে এ বিজয় ধরে রাখতে হবে।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। বেলা ৩টার দিকে তিনি সমাবেশস্থলে পৌঁছে মঞ্চে সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

এদিন বেলা ১২টার দিকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। তাদের হাতে দেখা যায় নৌকার প্রতিকৃতি, রঙ-বেরঙের বেলুন-ফেস্টুন। নারী কর্মীদের সাজতে দেখা যায় লাল-সবুজ শাড়িতে। পুরুষদের গায়ে লাল-সবুজ টি-শার্ট এবং মাথায় লাল-সবুজেরই ক্যাপ। দুপুর নাগাদ জাতীয় পতাকার রঙিন পোশাকে বর্ণিল হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৫৭টি আসনে জয় নিয়ে টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

এডুকেশন বাংলা/একে

শেয়ার করতে নিচের বাটন এ ক্লিক করুন : ⬇

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button